প্রাণ বাঁচাতে পাড়া ছাড়ার হিড়িক বান্দরবানে,বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের জেরে একের পর এক হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা হচ্ছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি রোয়াংছড়ির খামতাংপাড়ায় গুলিবিদ্ধ আটজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পৈতৃক ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। এতে জনশূন্য হয়ে পড়ছে পাড়াগুলো।
প্রাণ বাঁচাতে পাড়া ছাড়ার হিড়িক বান্দরবানে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হন। এ ঘটনার পরদিন (৭ এপ্রিল) গ্রামবাসীদের মধ্যে ২০ পরিবারের ৬৪ জন রুমা সদরের বম সোশ্যাল কাউন্সিল, শনিবার (৮ এপ্রিল) ৯০ পরিবারের ১৭৪ জন এবং রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে পাইক্ষ্যংপাড়া থেকে ৪০ পরিবারের প্রায় দেড়শ জন রোয়াংছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোয়াংছড়িতে আশ্রয় নেওয়া মুন সাং বম (৩২) জানান, পাইংক্ষ্যংপাড়া থেকে ৯২টি বম সম্প্রদায় ও একটি মামলা পরিবার পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে করে দুপুর ১২টায় রোয়াংছড়িতে পৌঁছেছেন।
পাইংক্ষ্যংপাড়ার কারবারি (পাড়াপ্রধান) পিটর বম বলেন, দুপুরে পাড়ার ৬২ পরিবারের প্রথম ২১০ জনের দল রোয়াংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে। আরও পরিবার আসছে।
সামং থান বম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, তার জানামতে ৩১ পরিবার উপজেলা ও জেলা সদরের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাইক্ষ্যং পাড়ার এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, তাদের পার্শ্ববর্তী ক্যপ্লং পাড়ার ৪০টি পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রোয়াংছড়ি সদরে আসছেন।
রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খামতাংপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ আটজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভয়ে আশপাশের কয়েকটি পাড়া থেকে ৩৮৮ জন রুমা ও রোয়াংছড়ি সদর এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে রুমাতে ৬৪ জন, রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে খিয়াং ১৯২ ও বম সম্প্রদায়ের ১৩২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের যৌথভাবে খাবার, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, সমসাময়িক পরিস্থিতির কারণে তারা ওই এলাকায় বসবাস করা অনিরাপদ মনে করছেন। ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তারা এখানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
২ thoughts on “প্রাণ বাঁচাতে পাড়া ছাড়ার হিড়িক বান্দরবানে”